বর্তমান
বাংলাদেশে DVR কার্ড এবং সিকিউরিটি ক্যামেরা খুবই মামুলি ব্যাপার হয়ে
দাঁড়িয়েছে। অফিস, কল-কারখানা, বাসা-বাড়ি প্রায় সব জায়গাতেই ইদানিং ক্লোজ
সার্কিট ক্যামেরা দেখা যায়। সিসিটিভি স্থাপন করা এখন আর আগের মত ব্যয়বহুল
এবং ঝামেলাপূর্ন নয়। চলুন এ সম্পর্কে কিছুটা জানা যাক। একটা সিসিটিভি সিস্টেম বসাতে মূলত যা যা প্রয়োজন হয় তা হল…
- – একটি হাই কনফিগারেশন কম্পিউটার
- – কম্পিউটারে ক্যামেরা সংযোগের জন্য DVR কার্ড
- – প্রয়োজনীয় সংখ্যক ক্যামেরা এবং কোএক্সিয়াল ক্যাবল।
কয়েক
ধরনের ক্যামেরা পাওয়া যায় যেখান থেকে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার করতে
পারেন। যেমন:- কিছু ক্যামেরা শুধু ভিডিও ধারন করতে পারে এবং কিছু ক্যামেরা
ভিডিওর সাথে সাথে শব্দ ও ধারন করতে পারে (এক্ষেত্রে DVR কার্ড ও শব্দ
রেকর্ড করার উপযোগী হতে হবে) আবার কিছু ক্যামেরা আছে যা রাতের অন্ধকারে ও
কাজ করে। এছাড়া ক্যামেরায় বিভিন্ন ধরনের লেন্স ও ব্যবহার করা যায়।কম্পিউটার কেনার সময় যে সমস্ত ডিভাইসগুলো দিকে বেশি প্রাধান্য দিতে হবে তা
হল, প্রসেসর, RAM এবং হার্ডডিস্কের ক্যাপাসিটি। প্রসেসসর ডুয়াল কোর হলে ভাল
হয়, RAM কমপক্ষে ১ গিগাবাইট হতে হবে তবে ২ গিগাবাইট হলে ভাল আর যত বেশী
ক্যাপাসিটির হার্ডডিস্ক লাগাবেন তত বেশী ভিডিও সার্ভারে ব্যাকআপ থাকবে।
সাধারন ৫০০গিগাবাইট থেকে ১ টেরাবাইট হার্ডডিস্ক লাগানো হয়। সিসিটিভি
সিস্টেম কনফিগার করা খুব জটিল কোন কাজ না। DVR কার্ড ড্রাইভার ইনষ্টল করা
অন্যসব ডিভাইসের মতই। আর সিসিটিভি সফটওয়্যারটার সাথে দেওয়া ম্যানুয়াল পড়লেই
এটা কনফিগারের আইডিয়া পেয়ে যাবেন। প্রোগ্রাম সেটাপের সময় অবশ্যই মনিটরের
রেজ্যুলেশনের বিষয়টা খেয়াল রাখবেন। রেজ্যুলেশন ১০২৪X৭৬৮ হলে ভাল হয় অন্যথায়
অনেক সময় ডিসপ্লে করবে না। মজার ব্যাপার হল, যে কম্পিউটারটি সিকিউরিটি
সার্ভার হিসাবে ব্যবহার করবেন তা থেকে ঐ নেটওয়ার্কে অবস্থিত সবাই এটি দেখতে
পারবে। আর আপনার সার্ভার মেশিন এর আইপি যদি রিয়েল হয় তাহলে তো কোন কথাই
নেই পৃথিবীর যে কোন স্থানে বসে আপনি দেখতে পারবেন আপনার বাসা বা অফিসের
কার্যক্রম
Post a Comment