স্বাগত জানাচ্ছি আমার সচেতনামূলক পোষ্টে। শুরুতেই সবাইকে অনেক শুভেচ্ছা । আজকে আমরা জানবো যে ১০ টি কারনে- মানু্ষের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে যায়। মস্তিষ্ক আমাদের দেহের একটি অতিগুরুত্বপূর্ণ অংশ। আমাদের পুরো দেহই
পরিচালিত হয় মস্তিষ্কদ্বারা। একবার ভাবুন যদি আমাদের মস্তিষ্ক দুর্বল হয়ে
পড়ে তাহলে কত বিপদেই না পড়তে হতে হবে আমাদের? তাহলে সময় এখুনি আমাদের
মস্তিষ্ক সম্পর্কে সচেতন হবার। আর তাই আপনাদের সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়াসে আমি
মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা হ্রাস পাওয়ার ১০ টি কারণ আপনাদের সাথে শেয়ার করছি
যাতে আপনারা সেই সব বিষয় সমূহ মাথায় রেখে তা এড়িয়ে যেতে পারেন আপনাদেরই
স্বাস্থ্যের কল্যাণে। তো কথা না বাড়িয়ে দেখা যাক কী,কী সেই কারণ-
- সকালে ঠিক মত না খাওয়া। যার ফলে রক্তে সুগারের পরিমান কমে যায় এবং ব্রেইন সঠিক পুষ্টি পায় না।
- প্রয়োজনের অধিক খাদ্যাভ্যাস। যার ফলে আপনার ব্রেইনের এর রক্তনালীকে শক্ত করে তার কার্যক্ষমতা হ্রাস করে।
- ধুমপান করা। এতে কোন সন্দেহ নেই যে ধুমপানের ফলে ব্রেইন এর ক্ষমতা হ্রাস করে। এমন কি এটি আলজেইমার রোগেরও একটি কারন।
- অতিরিক্ত পরিমানে চিনি খাওয়া। এটি ব্রেইনের জন্য ক্ষতিকর।
- বিষাক্ত বায়ু বা বায়ু দূষণ। মূলত আমরা যখন শ্বাসের মাধ্যমে অক্সিজেন গ্রহন করি তার প্রায় ৩৫ ভাগই আমাদের ব্রেইনের কাজে খরচ হয়। সুতরাং দূষিত বায়ুতে আক্সজেনের স্বল্পতার কারনে আমাদের ব্রেইনেও কম অক্সিজেন যাবে। এতে ব্রেইনের দক্ষতা কমে যায়।
- রাত জাগলে বা ঘুমের সমস্যা। ঘুম মানে হচ্ছে ব্রেইনের বিশ্রাম। যারা পরিমিত ঘুমান না তাদের ব্রেইনের কার্যক্ষমতাও কম যায়।
- মাথা ঢেকে ঘুমানো মস্তিষ্কের জন্য খারাপ। কারন তখন গৃহীত বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমান বেশী থাকে।
- অসুস্থ অবস্থায় মাথার কাজ বা চিন্তা করাও ব্রেইনের জন্য ক্ষতিকর। মূলত অসুস্থ অবস্থায় ব্রেইনে বিশ্রাম দরকার।
- বিশ্লেষণধর্মী চিন্তা ভাবনা আমাদের ব্রেইনের কার্যক্ষমতা এবং দক্ষতা বৃদ্ধি করে। যারা এধরনের চিন্তা কম করেন তাদের ব্রেইন তুলনামূলক কম দক্ষ হয়ে থাকে।
- মাদকাসক্ত । এতে মস্তিষ্কের কর্ম ক্ষমতা কমে যায়।
কি ভাবছেন? যে এটা তো আপনাও জানতেন? তাহলে যদি জেনেই থাকেন তাহলে আসুন আজ
থাকেই উপরের বিষয়গুলোকে এড়িয়ে চলি আর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নবান হই। এতে
আপনি হয়ে উঠবেন রোগ মুক্ত আর আপনি আপনার জীবনের প্রত্যেকটি কাজ করতে পারবেন
আপনার মতন করে। ধন্যবাদ ..
Post a Comment